এ কিতাব সাধারণ মুসলমানের দীনী ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আসছে। আল্লামা নাওয়াবী রহ. যখন থেকে এটি সংকলন করেছেন প্রায় সে সময় থেকেই এ কিতাব সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এ কিতাব আরব-অনারব নির্বিশেষে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে দীনী শিক্ষালয়ের মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্য তালিকাভুক্ত। তাছাড়া ঘরে, মজলিসে ও মসজিদে দীনী তা‘লীমের হালকায় এ কিতাবের সম্মিলিত পাঠ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই জারি আছে।আল্লাহপাক আল্লামা নাওয়াবী রহ.কে তাওফীক দিয়েছেন যে, তিনি হাদীসের উৎসগ্রন্থসমূহ থেকে একান্তই সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসসমূহ এ কিতাবে সংকলিত করার প্রয়াস পেয়েছেন। কিতাবের বিন্যাসও অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। একজন মুসলিমের প্রয়োজনীয় ঈমান-আকীদা, আমল-আখলাক তথা সার্বিক দীনী বিষয়ের একটি পূর্ণচিত্র এর দ্বারা লাভ করা যায়।অনেকের মতে সমগ্র বিশ্বে হাদীস বিষয়ক কিতাবসমূহের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও পঠিত অনন্য হাদীস সংকলন এই “রিয়াযুস সালেহীন” নামক কিতাব।কিতাবের তৃতীয় খণ্ডে ‘সুন্নত ও তার আদবসমূহ রক্ষায় যত্নবান থাকার আদেশ; আল্লাহর ফায়সালায় আনুগত্য প্রকাশের অপরিহার্যতা; দীনের মধ্যে নব-উদ্ভাবিত বিষয়াবলী ও বিদ‘আতে লিপ্ত হওয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা; ভালো ও মন্দ পন্থা চালু করার প্রতিদান; কল্যাণকর কাজের পথ দেখানো এবং সৎ পথ অথবা ভ্রান্ত পথের দিকে ডাকা; নেককাজ ও তাকওয়া-পরহেযগারীতে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা; নসীহত ও কল্যাণকামনা; সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ প্রসঙ্গ; অন্যকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করে নিজে তার বিপরীত করার কঠিন শাস্তি; আমানত আদায় প্রসঙ্গ; জুলুমের প্রতি নিষেধাজ্ঞা এবং জুলুমের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ফেরত দেওয়ার হুকুম প্রসঙ্গে সর্বমোট এগারোটি অধ্যায়, ৬৬টি হাদীছ ও তার ব্যাখ্যা স্থান পেয়েছে।
Sale!