পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৯৬,একটা সময় ছিল দাড়ি টুপি পরিহিত ব্যক্তি ধর্মীও বিষয়ে যা-ই বলত, মানুষ নির্দ্বিধায় সত্য ভেবে আমল করতো। যুগ পাল্টেছে, পাঠক সমাজ এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ইলম চর্চা করতে গিয়ে মানুষ জানছে, ইসলাম দলিল-প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামী হুকুম-আহকাম থেকে নিয়ে ইসলামী ইতিহাসে অনুমান বা কল্পনার কোনো স্থান নেই। প্রতিটি কথার দালিলিক ভিত্তি রয়েছে। আর তাই সচেতন পাঠক মাত্রই কুরআন হাদীসের রেফারেন্স তালাশ করেন। পাশাপাশি হাদীসের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত হয়ে এরপর আমল করেন। . তবে ইসলামের হুকুম আহকাম যেমন দলিল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, তেমনি ইসলামের অন্যান্য অঙ্গনেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। এভাবে হাদীস অধ্যায়নেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, যাকে আরবীতে বলা হয় ‘উসূলুল হাদীস’ এবং ‘উলূমুল হাদীস’। নীতিমালা এড়িয়ে হাদীসচর্চার প্রয়াসে পদস্খলন অবশ্যম্ভাবী।,হাদীসচর্চার মূলনীতি নিয়ে আরবী ও উর্দূ ভাষায় বিস্তর কাজ রয়েছে। সে তুলনায় বাংলা ভাষায় খুবই সীমিত। জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের বিশিষ্ট মুহাদ্দিস, গবেষোক মাও. আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাদীস অধ্যয়নের মূলনীতিগুলোকে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় খুব বিস্তর আলোচনা সমৃদ্ধ রচনা তৈরি করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইলম পিয়াসু সকল পাঠকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Sale!