Description
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদুল মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. প্রায় এক সহস্র কিতাব রচনা করেছেন। তাঁর সকল কিতাব উম্মতের রূহানী রোগের ব্যবস্থাপত্র। সেই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আমল করে যুগ যুগ ধরে মুসলমানগণ উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু হযরত-রচিত ‘হায়াতুল মুসলিমীন’ সম্পর্কে স্বয়ং হযরত রহ. যে কথা বলেছেন তা আর অন্য কিতাব সম্পর্কে শোনা যায়নি। হযরত রহ. বলতেন, “আমার নিজের রচনা সম্পর্কে এ খেয়াল হয় না যে তা আমার নাজাতের উপায় হবে। অবশ্য হায়াতুল মুসলিমীন সম্পর্কে আমার প্রবল ধারণা যে এ কিতাব দ্বারা আমার নাজাত হয়ে যাবে। আমি এ কিতাবকে আমার সমগ্র জীবনের কামাই এবং পুঁজি মনে করি। কিন্তু লোকেরা এ কিতাবটি উর্দু ভাষায় রচিত বলে মূল্যায়ন করে না। এ কিতাবের প্রকৃত মূল্যায়ন ঐ সকল আলেম করতে পারবেন যাঁরা হাদীস শরীফ পড়ান। তাঁরা লক্ষ করবেন যে, সামান্য কথায় কত বিরাট বিরাট প্রশ্ন ও সমস্যার সমাধান কত সহজে করা হয়েছে… এ কিতাব তো কেবল ঐ সকল আমলের সূচিপত্র যা দ্বারা নিশ্চিতভাবে দুনিয়াবী ও দ্বীনী সফলতা অর্জিত হবে। (ফয়যানে তাসানীফে হাকীমুল উম্মত, ডা. আবদুল হাই আরেফী রহ., পৃ. ১৪২-১৪৩)এ ছাড়া হযরত থানভী রহ.-এর প্রায় সকল খলীফাই তাদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গকে এ কিতাব নিয়মিত পাঠ করার ব্যাপারে কঠোরভাবে তাকীদ করতেন। মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক ছাহেব রহ.-এর খেদমতে আগত সালেকীনদেরকে তো এ কিতাব পাঠ্য তালিকাভুক্ত কিতাবের ন্যায় প্রতিদিন নির্ধারিত ঘণ্টায় সবকে সবকে পড়ানো হতো।
Reviews
There are no reviews yet.